রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ের দাবিসহ ১৩ দফা দাবি আদায় লক্ষ্যে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছীন মহানগর ও জেলা শাখা।
সোমবার ১৪ই নভেম্বর ২২ইং সকাল ১১টার দিকে কাছারি বাজার ডিসি অফিসের সামনে এম এ মানববন্ধন এর আয়োজন করে। পরে জেলা প্রশাসক কাছে ১৩ দফা দাবি সম্মিলিত একটি
স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনের দাবিগুলো হলো, মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের উপযুক্ত স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী এবং পাঠ্যবই, এনসিটিবি, মাসরাসা শিক্ষা বোর্ড ও জমিয়াতুল মােদার্রেছীনের বিজ্ঞ ও বিশেষজ্জ আলেমদের সমস্বয়ে প্রণয়ন করার বিকল্প নেই।
অনতিবিলম্বে একটি সমন্বিত কমিটি গঠণ করে এ কাজ শুরু করতে হবে।
সাবীকৃত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠযবই প্রণয়নের পূর্বপযর্ন্ত প্রচলিত পাঠ্য পুস্তকসমূহ পাঠদান অব্যাহত রাখতে হবে। সাধারণ পিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষা দশটি বিষয়ে ১০০০ নম্বরের অনুষ্ঠিত হবে।
মাদরাসা শিক্ষার দাখিল পরীক্ষার জন্য বিষয় ঠিক রেখে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। বেসরকারি সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীগণের চাকুরী জাতীয়করণ করতে হবে। সংযুক্ত ইবতেদায়ী প্রধান সহ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন/ভাতা প্রদান করতে হবে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায় স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিফিনসহ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমােদিত ২০১৮ইং সালে প্রণিত স্বতন্ত্র ইবতেদাযী মাদরাসার নীতিমালা শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মঞ্জরীর ১৪ বহরের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
মহিলা কোটা শিথিল ও সংশােধনপূর্বক যাগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়ােগের ব্যবস্থা করতে হবে। আরবি প্রভাষকগণের উচ্চতর পদে আসীন হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ পদে নিয়ােগের ক্ষেত্রে আরবি প্রভাষকদের জন্য পথ উনুক্ত করতে হবে।
কামিল পাশ সহকারী মৌলভীদের উচ্চতর ববতন স্কেলের ব্যবস্থা করতে হবে। মাদরাসা শিক্ষকগণের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট স্থাপন করতে হবে।
মাদয়াপার জনবল কাঠামাে ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশেধিত) স্কুল ও কলেজের নীতিমালা ২০২১ এর সাথে সমম্বয় করে মাদরাসার অনা্স স্তরের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভ্ক্ত
করতে হবে।
প্রায় পর্থ হাজার শিক্ষকের ইনক্রিমেন্ট কর্তন করা হয়েছে যা অমানবিক। অনতি বিলম্বে বকেয়াসহ প্রাপ্য ইনক্রিমেন্ট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মেকুড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল-আমিন হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহানগর সভাপতি আলতাফ হোসাইন,
আ ন ম হাদীউজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ইমাদপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মূলাটোল কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল ইসলাম, পাইকান ফাজিল মাদ্রাসার বাকের আলী, পবিত্র সাত ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল জাহের, মাদারগঞ্জ ফাদিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক, ভায়ার হাট পিয়ারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আসমত আলী, বদরগন্জ আলিম মাদ্রাসার আব্দুস সালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন- পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত অধিকাংশ ছবি, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং তাঁদের সস্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে সন্তিত করে তুলবে।
বর্তমান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছে। সেখানে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩৯টি বইয়ের মধ্যে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনীযী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী, সাহিতি্যিকদের বানী, নীতি নৈতিকতা সুষ্টিকারী কোন বিষয় স্থান পায়নি।
যেমন- বিজ্ঞান বইয়ে ১১ জন উলঙ্গ নারী-পুরুষের ছবি দিয়ে তাদের লজ্জাস্থানের পরিচয় দেয়া হয়েছে এবং সেলে মেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গনের বর্ণনা দিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শতশত মেয়ের বেপরদ্দা ছবি, হিন্দু মহিলার শাঁখা পরা হবি, কুকুর ও নেকড়ে বাঘের ২৪টি ছবি ছাপানো হয়েছে যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ বলে মন্তব্য করেন।